আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বজুড়ে তীব্র তাবদাহের পূর্বাভাস, স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি জাতিসংঘের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান তাবদাহের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে জাতিসংঘ। কারণ দিনদিনই উত্তপ্ত হচ্ছে বিশ্ব। দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়। এ প্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে তাবদাহ আরো বাড়বে বলেই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য সতর্কতা।

তীব্র তাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এসময় বেশি করে পানি পান ও সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিশ্বজুড়েই রেকর্ড তাপমাত্রা বিরাজ করছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে রেকর্ড তাপমাত্রা চলছে। বেইজিংয়ে ২৩ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গে গত সাতদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে গ্রিস ও কেনারি দ্বীপে অগ্নিনির্বাপক সদস্যরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্পেন উচ্চ তাপমাত্রার কারণে রেড এলার্ট জারি করেছে। ইতালির সারদিনিয়া ও সিসিলি দ্বীপে তাপমাত্রা ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এদিকে ইরানে ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বুশেহেরের আসালুয়েহ জেলার পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় দুপুর ১২টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএস স্টর্মওয়াচের কর্মকর্তা কলিন ম্যাকার্থি এক টুইট বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

আমেরিকার লাখ লাখ লোককে মঙ্গলবার তীব্র তাপমাত্রা মোকাবেলা করতে হয়েছে। টেক্সাসের সান এঞ্জেলো শহরে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডব্লিওএমও বলেছে, তাপমাত্রা কমার কোন লক্ষণ নেই।

ডব্লিওএমও’র তীব্র তাপ বিষযক উপদেষ্টা জন নায়ারন জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তাপমাত্রা আরো বাড়বে। বিশ^কে আরো তাবদাহের জন্যে প্রস্তুত হতে হবে।

ফ্রান্সের জলবায়ু বিষয়ক ইন্সস্টিটিউট পিয়েরে সিমন লাপেলেসের পরিচালক রবার্ট ভটার্ড বলেছেন, ইউরোপ ও বিশ^জুড়ে চলা এই তাবদাহ কেবল একটি কারণে নয়, একাধিক বিষয় এতে রয়েছে। তবে তাপ তীব্ররূপ নেয়ার একটিই কারণ। আর সেটা হল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।

তথ্যসূত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর